Our social:

Saturday, February 4, 2017

ক্যানসারের সতর্ক সংকেত


রীরের অতি দ্রুত অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসার তৈরি হয়। ক্যানসার হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্যানসার প্রতিরোধ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব যদি নিয়ম মেনে সঠিকভাবে জীবনযাপন করা যায়।

ক্যানসারের আগাম বিপদ সংকেত


১) দীর্ঘ স্থায়ী খুসখুসে কাশি বা কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া

২) ভাঙ্গা কণ্ঠস্বর

৩) স্তনে বা শরীরে কোথাও কোনো চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলে

৪) অনেক দিন ধরে ঢোক গিলতে অসুবিধা হলে

৫) তিল বা আঁচিলে  হঠাৎ  পরিবর্তন

৬) কোনো আঘাত ছাড়াই শরীরে কালশিটে দাগ

৭ ) মলের সঙ্গে রক্তপাত

৮ ) বিনা কারণে শরীরের ওজন কমতে থাকা

৯) হঠাৎ করে নখের রং পাল্টে যাওয়া

১০) শরীরের কোথাও আচমকা গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, তাতে ব্যথা ও জ্বর থাকলে এটি ক্যানসারের আগাম বিপদ সংকেত ।

যে সব কারণে ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়ে

১) যাদের বংশে ক্যানসার থাকে তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।

২) দূষিত পরিবেশ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। আমাদের পরিবেশের কিছু উপাদান ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন দূষিত পানি, দূষিত বাতাস, রাসায়নিক বর্জ্য, রাসায়নিক খাদ্য উপাদান, রেডিয়েশন।

৩) ধূমপান ও মদ্যপান ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়

৪) বয়স ও উচ্চতা অনুসারে অতিরিক্ত ওজন

৫) অস্বাস্থ্যকর খাবার (ফাস্ট ফুড, পান সুপারি, জর্দা, অতিরিক্ত লবণ) ও পানীয় ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৬) দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ

৭) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

৮) শরীরে হরমোনের অস্বাভাবিকতা ক্যানসার সৃষ্টি করে

৯) দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর রেডিয়েশন ক্যানসার সৃষ্টি করে

১০) ক্যানসার তৈরি করে এমন কেমিক্যালের শরীরের সংস্পর্শে অনেক দিন থাকলে।

ক্যানসার প্রতিরোধের উপায়

১) বেশি করে সতেজ শাক সবজি ও রঙিন ফল খান। বাইরে বানানো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না।  প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না, ক্ষতিকর রং মিশানো খাবার খাবেন না, লাল মাংস এড়িয়ে চলুন।

২) শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন,  শারীরিক ভাবে কর্মঠ থাকুন।

৩) প্রয়োজনীয় সব টিকা নিন।

৪) ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক পরিহার করুন

৫) ধূমপান ও মদ্যপানকে না বলুন

৬) সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে দূরে থাকুন

৭) নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সেবা বা পরামর্শ নিন। ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে শরীর পরীক্ষা করানো।

৮) নিজের যত্ন নিন।  নিজের শরীরকে ভালোবাসুন। শরীরে কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলে ডাক্তার দেখান। নিয়মিতভাবে স্ক্রিনিং করে ক্যানসারে আগাম সতর্ক হোন। প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রত চিকিৎসা শুরু করুন। পারিবারিক ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সচেতন করুন  এবং ক্যানসার থেকে বাঁচুন।