মুখের আকৃতি মেকআপের ধরণ
মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের মেকআপ করতে হয় চেহারার ধাঁচের ওপর নির্ভর করে। কারণ সব ধরনের মেকআপ সবার চেহারায় মানানসই হয় না। চারকোণা মুখের আকৃতিতে গোলাকার মুখের জন্যমানানসই মেকআপ নিলে হবে না। এ জন্য বুঝতে হবে আপনার চেহারার ধরন এবং তার জন্য মানানসই মেকআপ পদ্ধতি। এখানে এমনই ৭টি মেকআপ কৌশল জানানো হলো আপনাদের।
মুখের আকৃতি অনুযায়ী মেকআপের ধরণ-
১. ডিম্বাকার :
ওভাল আকৃতির চেহারায় কপালের অংশটি চিবুকের চেয়ে কিছুটা বিস্তৃত থাকে। এটি মেয়েদের আদর্শ চেহারার আকৃতি। তাই এতে ভারি মেকআপ দিয়ে ভিন্ন আকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং আপনার সুন্দর ওভাল মুখের দুই পাশে ইংরেজি ‘3’ এর আকৃতি দিয়ে ব্রোঞ্জার মেকআপ করুন। কপাল থেকে শুরু করে চিবুকের উঁচু হাড় হলে চিবুকের নিচ পর্যন্ত এভাবে মেকআপ নিন।
২. আয়তাকার :
মেয়েদের ওবলং ধাঁচের চেহারার লম্বাটে ভাবটাকে একটু কমিয়ে আনা প্রয়োজন। এ জন্য চোয়ালের হাড় পর্যন্ত ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। একটু বিস্তৃত করতে চিবুকের উঁচু অংশে ব্লাশ করুন। চিবুকের হাড়ের ওপরের দিকের অংশ হাইলাইট করুন। এতে চোখ দুইটি চেহারার মাঝামাঝিতে রয়েছে বলে মনে হবে।
৩. বর্গাকৃতি :
স্কয়ার মুখের চওড়া ভাবটাকে কমিয়ে ওভাল আকৃতি দিতে হবে। মেকআপ করবেন চিবুকের হাড়, নাকের দুই পাশ, চোয়াল হয়ে হেয়ার লাইন বরাবর। এ ছাড়া চোখে শার্প লাইন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
৪. গোলাকার :
রাউন্ড মুখে একটু লম্বাটে ভাব ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রফল যোগ করা প্রয়োজন। চিবুকে কিছুটা ঘন মেকআপসহ ব্রোঞ্জার দিয়ে চোয়ালে বাঁক তৈরি করতে হবে। চিবুকের উঁচু হাড়ের কেন্দ্রের ঠিক ওপর থেকে পেছন বরাবর ব্লাশ করুন।
৫. হার্ট শেপ :
এ ধরনের মুখে চিবুকের হাড় বেশ বিস্তৃত থাকে। এর উঁচু অংশ থেকে হাড় বরাবর হালকা ব্লাশ করুন। এ আকৃতির মুখে ডিপ কালার লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
৬. লম্বাটে চারকোণা :
এ ধরনের চেহারায় কপাল, চিবুক বেশ বড় থাকে এবং চোয়ালও বেশ শক্ত দেখায়। ওভাল চেহারার মতোই কপাল, চিবুকের হাড় ও চোয়াল পর্যন্ত ইরেজি ‘3’ আকৃতিতে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। ভ্রুতে ধনুকের মতো বাঁকা আকৃতি দিন।
৭. ত্রিভুজাকৃতি :
চোয়াল বরাবর ডাস্ট ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। এতে চোয়ালের বিস্তৃতি কমে আসবে। ঠোঁটে রং ব্যবহারের সময় চকচকে লিপস্টিক এড়িয়ে নিউট্রাল রং ব্যবহার করুন।