Our social:

Saturday, January 28, 2017

পুরনো ওষুধগুলো ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান!


ছোট-বড় রোগে ভুগে ওষুধ খেতে হয় সবাইকেই। অনেক সময়েই কিছু ওষুধ থেকে যায়। হয়তো আপনি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্সটা শেষ করলেন না, বা প্যারাসিটামলের পাতাটার ডেট ওভার হয়ে গেছে, অনেকদিন না খাওয়ার পর আর ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে ইচ্ছে করছে না। এমন অবস্থায়
ওষুধগুলো আমরা ফেলেই দিই। কেউ টয়লেটে ফ্ল্যাশ করে দেন, কেউ ডাস্টবিনে অন্য সব ময়লার সাথে ফেলে দেন। আপনি কি জানেন, এভাবে কোনোরকম চিন্তা না করে ওষুধ ফেলে দেওয়াটা যে কতবড় ভুল?



অ্যামেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির মতে এসব ওষুধ পানি দূষণের পাশাপাশি আপনি যে পানি পান করছেন সেটাকেও দূষিত করছে। এই দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলজ প্রাণীরা এমনকি মানুষেরাও। এই দূষণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি বটে। আমাদের দেশে ইতোমধ্যেই পানি দূষণ বেশ লক্ষ্য করা যায়, এক্ষেত্রে পানিতে আরও রাসায়নিক না মেশানোই আমাদের উচিত।

ওষুধগুলোকে যেমন-তেমনভাবে ফেলে না দিয়ে আপনি কিছু কাজ করতে পারেন, যেমন-

ওষুধের যদি এক্সপায়ারি ডেট পার না হয়ে যায়, তাহলে পরিচিত কোনো ফার্মাসিতে যোগাযোগ করে ওষুধগুলো ফিরিয়ে দিতে পারেন।
আশেপাশের হাসপাতালগুলোতেও খোঁজ নিতে পারেন যে তারা এই ধরণের ওষুধ গ্রহণ করে কিনা।
আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করতে পারেন আপনাকে দেওয়া ওষুধ কীভাবে ফেলে দেওয়াটা নিরাপদ।
নিজেই যদি ওষুধ ফেলে দিতে চান, তাহলে এগুলো তাদের বোতল, বক্স, ফাইল বা কৌটা থেকে বের করুন আর কফির গুঁড়ো, মাটি বা বালির সাথে মিশিয়ে ফেলুন। এরপর একটা মোটা প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢুকিয়ে প্যাকেট শক্ত করে বেঁধে ফেলুন। তারপরে এগুলো ডাস্টবিনে ফেলুন।
সম্ভব হলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকুন এবং দরকার না থাকলে যত দ্রুত সম্ভব ফার্মাসিতে ফেরত দিয়ে আসুন। তাহলে আর মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কী করবেন সে চিন্তায় পড়তে হবে না।
বাংলাদেশে ওষুধ নিরাপদে ফেলে দেওয়া বা নষ্ট করে ফেলার কোনো নীতিমালা এখন পর্যন্ত নেই, তাই আপনি নিজে থেকেই সচেতন হতে পারেন এবং অন্যদের সচেতন করে তুলতে পারেন এ ধরণের দূষণের ব্যাপারে।