ডায়াবেটিস হলে কি মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া যাবে না?
একটা কথা প্রচলিত আছে বা প্রায়ই শোনা যায় যে ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া যাবে না। কথাটা একেবারেই ভুল।
মিষ্টি জিনিসটা পুরো কার্বোহাইড্রেট। কিছু ফল আছে যেগুলো অন্য ফলের চেয়ে বেশি মিষ্টি, অর্থাৎ বেশি কার্ব ধারণ করে। কিন্তু তার মানে এই না যে ডায়াবেটিস আছে বলে আপনি সেসব ফল খেতে পারবেন না। রক্তের সুগার লেভেল তখনই বাড়বে যখন আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে বেশি কার্ব খাচ্ছেন। এই কার্ব কোন খাবার থেকে আসছে, সেটা বড় ব্যাপার নয়।
মিষ্টি জিনিসটা পুরো কার্বোহাইড্রেট। কিছু ফল আছে যেগুলো অন্য ফলের চেয়ে বেশি মিষ্টি, অর্থাৎ বেশি কার্ব ধারণ করে। কিন্তু তার মানে এই না যে ডায়াবেটিস আছে বলে আপনি সেসব ফল খেতে পারবেন না। রক্তের সুগার লেভেল তখনই বাড়বে যখন আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে বেশি কার্ব খাচ্ছেন। এই কার্ব কোন খাবার থেকে আসছে, সেটা বড় ব্যাপার নয়।
আপনি যখন একবার ফল খাবেন, তখন খেয়াল রাখবেন যে ফল থেকে প্রাপ্ত মোট কার্বের পরিমান যেন ১৫ গ্রামের বেশি না হয়। এটা নির্ভর করছে, ফলে কি পরিমান কার্ব আছে, তার উপর। আপনি যদি এমন ফল খান যাতে কার্বের পরিমান কম থাকে, তাহলে সুবিধা হলো বেশি ফল খেতে পারছেন এবং অন্য দিকে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারবেন।
যাই হোক, লো-কার্ব বা হাই-কার্ব ফল কোন ব্যাপার না। যতক্ষণ না আপনি ১৫ গ্রামের বেশি কার্ব খাচ্ছেন ততক্ষণ রক্তে সুগার লেভেল একই থাকবে। কোন সমস্যা হবে না।
এবার দেখা যাক কিছু মিষ্টি ফলে কতটুকুতে ১৫ গ্রামের নিচে কার্ব থাকে:
·
মাঝারি সাইজের কলার অর্ধেক
·
হাফ কাপ (৮৩গ্রাম) আম
·
শোয়া এক কাপ (১৯০ গ্রাম) তরমুজ
·
শোয়া এক কাপ (১৮০ গ্রাম) স্ট্রবেরী
·
১/৩ কাপ (৮০ গ্রাম) সফেদা
·
৩/৪ কাপ (১২৪ গ্রাম) আনারস